ছাড়পত্র এখনও মেলেনি! তবু শুরু শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা প্রস্তুতি

ছাড়পত্র এখনও মেলেনি! তবু শুরু শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা প্রস্তুতি— কী বলছে বিশ্বভারতী?

Spread the love

শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা প্রস্তুতি শুরু: আদালতের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আয়োজনকারীরা আশাবাদী

শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলাকে ঘিরে আবারও উৎসবের আমেজ ছড়াতে শুরু করেছে। যদিও এখনও পরিবেশ আদালত থেকে ছাড়পত্র পাওয়া বাকি, তার পরেও মেলার প্রস্তুতি জোর কদমে শুরু করে দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। আয়োজকদের দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে এবং সমস্ত আইনি নিয়ম অনুসরণ করেই এবার মেলার আয়োজন করা হবে।

ছাড়পত্র এখনও মেলেনি!

পূর্বপল্লির মাঠে কর্মকর্তাদের পরিদর্শন

শুক্রবার পূর্বপল্লির মাঠ ঘুরে দেখেন বিশ্বভারতীর শীর্ষ আধিকারিকেরা, শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের প্রতিনিধিরা এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা। মাঠের অবস্থা, জায়গা বণ্টন, প্রবেশ–প্রস্থান পথ—সবকিছু নিয়েই তারা খুঁটিনাটি আলোচনা করেন। তাঁদের মতে, “সব কিছু ঠিক থাকলে এবছর আবারও রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় মেলার পরিবেশ ফিরে আসবে।”

মেলার প্রস্তুতি: পরিকাঠামোয় জোর

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিবারের মতো এবারও পৌষমেলা ২০২৫-এর জন্য প্রয়োজনীয় সব পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে—

  • স্টল বরাদ্দের পরিকল্পনা

  • মেলার নিরাপত্তা

  • পানীয় জলের ব্যবস্থা

  • পরিচ্ছন্নতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

  • ভিড় নিয়ন্ত্রণ

প্রতিটি বিষয় নিয়েই আলাদা নজর দেওয়া হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে। ব্যবসায়ীদের অসুবিধা এড়াতে স্টল বা প্লট বুকিং পুরোপুরি অনলাইনে করা হবে, যেমনটা গত বছর হয়েছিল।

আরও পড়ুন :

পশ্চিমবঙ্গে শীত কি ফের পালাচ্ছে? আলিপুর হাওয়া অফিসের নতুন সতর্কবার্তা—আবার বাড়বে তাপমাত্রা!

মাত্র ৩০ দিনে মেদ কমানোর ৫টি চমকপ্রদ উপায়! রোজ করলে শরীর বদলে যাবে

 

পরিবেশ আদালতের নির্দেশই মূল চাবিকাঠি

মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত অনেকটাই নির্ভর করছে পরিবেশ আদালতের ছাড়পত্রের উপর। আয়োজক মহলের বক্তব্য—
“আদালতের অনুমতি পেলেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যৌথ বৈঠক করে মেলার চূড়ান্ত রূপরেখা ঘোষণা করা হবে।”

পরিবেশ আদালত আগে যে সব শর্ত দিয়েছিল, সেগুলো মানার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রাস্ট দু’পক্ষই আশ্বস্ত করেছে। পরিবেশ সুরক্ষা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ, শব্দ নিয়ন্ত্রণ—প্রতি ক্ষেত্রেই কড়া নজর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

স্থায়ী ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের মধ্যে আশাবাদ

মেলা ঘিরে সবচেয়ে বেশি আশাবাদ স্থানীয় ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের। তাঁদের মতে, “পৌষমেলা শুধু উৎসব নয়, বছরের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক সুযোগ।” তাই প্রস্তুতি শুরুর খবর তাঁদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *